Brand

**১৯৬৯** "আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা" থেকে মুক্তি পান

১৯৬৯ সালে "আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা" থেকে বঙ্গবন্ধুর মুক্তি:

১৯৬৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি শেখ মুজিবুর রহমান "আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা" থেকে মুক্তি লাভ করেন। এই মামলাটি ছিল তৎকালীন পাকিস্তান সরকার কর্তৃক বঙ্গবন্ধু ও আরও ৩৪ জন বাঙালি সেনা ও বেসামরিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে দায়েরকৃত একটি রাজনৈতিক মামলা। অভিযোগ ছিল, তারা ভারত সরকারের সহায়তায় পূর্ব পাকিস্তানকে পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন।

১৯৬৮ সালের ৬ জানুয়ারি এই মামলার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয় এবং শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রধান অভিযুক্ত (আসামি নং ১) হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সরকার মামলাটি সামরিক ট্রাইবুনালে বিচার করতে চেয়েছিল, যাতে গোপনীয়ভাবে শাস্তি দেওয়া যায়। তবে এটি জনগণের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি করে।

এই মামলা পূর্ব বাংলায় তীব্র জনবিক্ষোভের জন্ম দেয়। ছাত্র সমাজ ১১-দফা দাবির পক্ষে আন্দোলন গড়ে তোলে এবং “বঙ্গবন্ধু” শেখ মুজিবের মুক্তি দাবি করে। ১৯৬৯ সালের গোড়ার দিকে সারাদেশে গণআন্দোলন চরমে ওঠে। পুলিশের গুলিতে ছাত্রনেতা আসাদুজ্জামানের মৃত্যুর পর আন্দোলন আরও তীব্র হয়। পরে আরও দুই তরুণ—মতিউর রহমান ও রুস্তম—ও শহীদ হন। এ আন্দোলন ইতিহাসে পরিচিতি পায় “উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান” নামে।

চূড়ান্ত চাপে পড়ে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার মামলাটি প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয়। শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল আসামিকে মুক্তি দেওয়া হয়। ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯, শেখ মুজিব কারাগার থেকে মুক্তি পান এবং রেসকোর্স ময়দানে এক বিশাল সংবর্ধনায় তাকে প্রথমবারের মতো “বঙ্গবন্ধু” উপাধিতে ভূষিত করা হয়।

এই ঘটনার মাধ্যমে শেখ মুজিবুর রহমান জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থন পান এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার আন্দোলনের নেতৃত্বে অপ্রতিদ্বন্দ্বী নেতা হয়ে ওঠেন।

আপনি কি চাচ্ছেন এর সঙ্গে ঐ সময়ের কিছু মূল চিত্র বা নথির প্রতিলিপিও দেখানো হোক?